শফিকুল ইসলাম খোকন

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

বলেশ্বরের বুকে জেগে ওঠা ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’

শফিকুল ইসলাম খোক
উপরে নীল আকাশ, নিচে চারদিকে জলরাশি, মাঝখানে প্রকৃতি সাজিয়েছে অপরূপে একটি দ্বীপ যার নাম ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’। দ্বীপটির চারপাশে অথৈ জলরাশি আর সবুজ বেস্টুনি দিয়ে ঘেরা। 
একদিকে রয়েছে ধু-ধু বালুচর, অন্যদিকে রয়েছে শিতল বালু, যেখানে প্রকৃতি অপরূপে একে রাখে বিভিন্ন ধরনের ফুল। অন্যদিকে, ঢেউয়ের গর্জন আর সুর্যাস্ত। পাখির কিচির-মিচির আর হরিণের ছোটাছুটিতো আছেই। কাঁকড়া, শামুকের অবাধ ছোটাছুটিতো আর বিভিন্ন পাখির কলকাকলী মুহুর্তেই মুগ্ধ করে দেয় যে কাউকে। 
এতো গল্প, এতো প্রশংসা আর এতো গুনগান যার নাম ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’। পাথরঘাটার কয়েকজন সংবাদকর্মী আর কয়েকজন সমাজকর্মী পর্যটক দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আবিষ্কার করেছেন হরেক গুনের সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপের সন্ধান।
তারাই নাম রেখেছেন ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’। নাম আর বাস্তবে যেন পুরো মিল। যেখানে বিহঙ্গের সঙ্গে বিহঙ্গের মিলন। বিহঙ্গরা উড়ে এসে জুড়ে বসে বিহঙ্গ দ্বীপে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের মাঝে বড় কোনো সবুজ পাহাড়। সাদা বালুচরের লাল কাঁকড়া লাল গালিচা দূরে সাদা গাংচিল, বক, চেগা পাখি। বনের মধ্যে পায়ে হাঁটা পথে কিছু দূর গেলে পাখির কলোরব আর চোখের সামনে দৌঁড় দিয়ে যাবে মায়া হরিনের পাল।
সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদ। যে নদের পূর্বে রয়েছে পাথরঘাটা আর পশ্চিমে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বলেশ্বর নদের মধ্যবর্তী জলরাশির মাঝে জেগে ওঠে দ্বীপটি। পার্শবর্তী রুহিতা গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দাদের তথ্যমতে ওই দ্বীপটি জেগে ওঠেছে অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে। আস্তে আস্তে প্রকৃতি নিজের সাজেই সজ্জিত হয়েছে এ দ্বীপটি। এক সময় এ দ্বীপটিকে স্থানীয় জেলেরা ধানসির চর বলেই জানতো। কারণ প্রথমে এ চরটি জেগে ওঠার সময় প্রচুর ধানসি ছিল। যা কালের পরিক্রমায় এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। 
সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম গোলাকার প্রায় ১৫০ একর জেগে উঠেছে বিশাল এই চর। এ চরে স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেদের আনাগোনা ছিল অনেক আগেই। এ চরের সঙ্গে অনেক আগ থেকেই স্থানীয় সংবাদকর্মীরা পরিচিত ছিলেন। অনেক আগ থেকেই এ চরটি নাম করণসহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য নানা কৌশল অবল্বন করেছেন সংবাদকর্মীরা। 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রবীণ সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, স্বেচ্ছায় সেবাদান সংগঠন ‘আস্থা’র সভাপতি সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পর্যটনপ্রেমী আলোকচিত্রী সাংবাদিক আরিফুর রহমান, প্রত্যয়ের সভাপতি চিত্রশিল্পী মেহেদি শিকদার, সাংবাদিক এএসএস জসিম, আবুজর ইবতে রাফি, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. বাইজিদ, জেলে মোস্তফা মুন্সী চরটিতে গিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিহঙ্গ দ্বীপের সূচনা করেন। স্থাপন করেন ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’ লেখা নাম ফলক। তাদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, বনবিভাগ, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ ও আরিফুর রহমান  বলেন, এ দ্বীপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে অপরূপে সাজিয়ে রেখেছেন। দ্বীপটির চারপাশে অথৈ জলরাশি ও সবুজে ঘেরা। ঢেউয়ের গর্জন আর সুর্যাস্ত। পাখির কিচির-মিচির তো আছেই। এছাড়াও কাঁকড়া, শামুকের অবাধ ছোটাছুটি আর বিভিন্ন পাখির কলকাকলী মুহুর্তেই মুগ্ধ করবে পর্যটকদের।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’ নামটি শুনে। আমরা আরও আনন্দিত এ রকমের একটি দ্বীপ আমাদের এলাকায় আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যা করা দরকার তাই করবো। 

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র!

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র!

শফিকুল ইসলাম খোকন
প্রথমে একটি বাস্তব ঘটনা না বললেই নয়; শিরোনামটি লেখার সময় সেই বাস্তব ঘটনাটি মনে পড়ে গেল। সেটি হলো 'সমপ্রতি আমার অতি পরিচিত এক লোক একটি সিগারেট ধরিয়ে আমার চেম্বারে এসে বসলো। তখন আমি ঐ লোকটিকে বললাম ভাই সিগারেটটি বাইরে গিয়ে খেয়ে আসেন। তিনি বললেন, আমার স্বাধীনতা আছে আমি সিগারেট খাচ্ছি, আপনি পারলে আমাকে ঠেকান। এই কথা বলে তিনি সিগারেটটি আরও লম্বা করে টান দিল। আমি তখন বললাম ভাই আপনার স্বাধীনতা আছে সেগারেট খাওয়ার, তাহলে আমারও স্বাধীনতা আছে আমার জুতো দিয়ে আপনাকে পিটানো। এই কথা বলার পর তিনি আমার চেম্বার থেকে উঠে গেল!

শিরোনামে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র; এ দুটো শব্দই আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং অনেক কাছের। স্বাধীনতা হচ্ছে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশে মানুষ নিজের মতো করে চলাফেরা করবে। আর গণতন্ত্রের বিষয়টি এক কথায় যদি বলি তা হলো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে সমঅধিকার নিশ্চিত হওয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময়টা কতটা ভয়াবহ ছিল সেটা আমরা কিছুটা অনুভব করতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমা এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ সে সময় প্রতক্ষদর্শী প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শুনে। ছোটবেলা থেকেই শুনেছি সে সময় লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ, বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানোর কথা। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে, আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে লোকজনের আহাজারি, আতঙ্ক, ছুটে বেড়ানো, সন্তান হারিয়ে মায়ের বুকফাটা কান্না, স্বামী হারিয়ে স্ত্রীর ইত্যাদি। এ ধরনের দৃশ্য সিনেমায় দেখেও সেই সময়ের বাস্তবতা কিছুটা উপলব্ধি করি।

প্রতিদিন মানুষ পুড়ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আর এই পুড়িয়ে মারার কাজটি করছে হাতে গোনা কয়েকজন। অল্প কিছু মানুষের দুর্বৃত্তপনা এবং নৃশংসতার কাছে হেরে যাবে মানবতা? হেরে যাবে শুভবোধ, বুদ্ধি? হ্যাঁ, বর্তমান অবস্থা দেখে তাই মনে হয়। অনেকে প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশ কি আফগান হয়ে গেছে? রাজপথে আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তাকে কোনোভাবেই যেমন আন্দোলন বলা যায় না, তেমনি তা সমর্থনযোগ্যও নয়। গন্তব্যহীন আমাদের এই ছুটে চলা সর্বনাশের আগুনে পুড়িয়ে মারছে। আপসহীনতা এবং অনমনীয়তায় আজ জ্বলছে স্বদেশ। মাঝখান থেকে মরছে সাধারণ মানুষ। বাদশায় বাদশায় যুদ্ধ হয় উলু খাগড়ার প্রাণ যায় প্রবাদটি আজ বড় বেশি সত্য হয়ে উঠেছে আমাদের জন্য। এই সমস্যা ও সঙ্কট থেকে দ্রুত আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। রাজনৈতিক সঙ্কটে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা থমকে যাবে, থেমে যাবে নিরীহ মানুষের জীবন এটা তো সভ্য সমাজে মেনে নেয়া কঠিন। দেশব্যাপী টানা অবরোধের কারণে দেশবাসীর এখন মহাকঠিন, নিদারুণ এক দমবন্ধ দশা। এর মধ্যেই আবার মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো মাঝে মাঝেই হরতাল ঘোষণা করা হচ্ছে। একদিকে সরকারের তরফে সঙ্কট অবসানে কোনো উদ্যোগ নেই, অন্যদিকে বিএনপি বলছে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি চলবে। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? অবরোধ-হরতাল যত দীর্ঘ হচ্ছে, মানুষের লাশের সারিও লম্বা হচ্ছে। বাড়ছে অগি্নদগ্ধ মানুষের সংখ্যাও।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে এখন যে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন চলছে, এর প্রধান কারণ ক্ষমতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার। যে কারণে গত কয়েক বছর ধরে এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিলুপ্ত হয়েছে বিবেকবোধ; সেখানে জায়গা করেছে দুর্বৃত্তায়ন আর অবৈধ উপায়ে বানানো পুঁজি। আজ সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং রাজনীতির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আজ প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে অবরোধ নামের রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেই সঙ্গে দফায় দফায় হরতাল তো রয়েছেই। কিন্তু এর শেষ কোথায়? এর লক্ষ্য কি? হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে চালানো নাশকতার লক্ষ্যবস্তু সাধারণ মানুষ। বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ কর্মসূচিতে প্রতিদিনই এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আগুন দেয়া হচ্ছে যানবাহনে। এটা কি আন্দোলনের নমুনা হতে পারে? এই পুড়ে যাওয়া মানুষগুলোর অপরাধ কি? পুড়ে মারা যাওয়া শিশুসহ এই নিরীহ মানুষেরা সবাই কি সরকার সমর্থক? না; দুদলের কমবেশি সমর্থক। আর এ সহিংসতার দায় কি শুধু বিএনপি'র? না এর দায় সরকারদলীয় জোটেরও বটে। আর সহিংসতা কি শুধু ২০ দলীয় জোট করছে? প্রশ্ন আসে অধিকাংশ সহিংসতা সরকারদলীয় জোটের সমর্থকরাও করে ২০দলীয় জোটের ওপর দোষ চাপাচ্ছে না তো? কিন্তু এসব তো ঘটছে! বলা যায়, প্রতিদিন ঘটছে! তাহলে কারা করছে এসব কাজ! '৭১ সালে যে উদ্দেশ্যে এ দেশটি স্বাধীন করা হয়েছে আসলে কি সেই স্বাধীনতা আমরা পাচ্ছি? একাত্তরে যে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও, প্রাণহানি হয়েছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়া; আমাদের একটি মহান উদ্দেশ্য ছিল, আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। পরাধীন না হয়ে শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজেরা নিজেদের স্বকীয়তা, স্বাধীনতা নিয়ে আলাদা হতে চেয়েছিলাম। আজকাল আমাদের স্বাধীন দেশের টিভি এবং পত্রিকা খুললেই যে দৃশ্য দেখতে পাই তাকে স্বাধীনতা বলে না। একইভাবে মানুষ মরে পড়ে আছে, গাড়ি পুড়ছে, দাউদাউ আগুন, অসহায় মানুষের আর্তনাদ! ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াও জাতীয় দৃশ্যগুলো যখন দেখি আরো অবাক লাগে। ক্ষমতার জন্য এতো হানাহানি এটি কি গণতন্ত্র? না এটাকে গণতন্ত্র বলা যায় না। আজ রাজনীতিবিদরা যেভাবে গণতন্ত্র মুখে নিয়ে খৈ ফোটাচ্ছে এবং জনগণকে দর্শক বানিয়ে নাটক করছে, এটি আসলে আমরা সাধারণ জনগণ বুঝলেও প্রতিবাদ করতে পারছি না। আজ যেভাবে রাজনৈতিক নেতারা তাদের নিজ হিন স্বার্থ হাসিল করার জন্য হলি খেলায় মেতে উঠছে তাতে ভবিষৎ অন্ধকার। আমরা এমন স্বাধীনতা চাই না, আমরা এমন গণতন্ত্রও চাই না। আমরা ঐ স্বাধীনতা চাই, যে স্বাধীনতা আমাদের নিরাপত্তা দেবে, জানমাল রক্ষা করবে, আমাদের বাক-স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু আজ আমরা নিজেরা নিজেরা হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছি। এটা তো আমাদের নিজের দেশ, স্বাধীন দেশ! এই দেশের প্রতিটি সম্পদ আমাদের নিজেদের সম্পদ। অনেক কষ্টের বিনিময়ে একটু একটু করে আমরা এই দেশ গড়েছি। আমরা কেন আমাদের সম্পদ নষ্ট করছি! স্বাধীনতার অর্থ হত্যাযজ্ঞ নয়। গণতন্ত্র অর্থ অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল নয়। আর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াও নয়;

আর লাশ বইবার কোনো রকম শক্তি-সামর্থ্য দেশ-জাতির নেই। এ যাবত যা যা গেছে সেসব অপূরণীয়। জীবনের ক্ষতি তো কোনো কিছু দিয়েই পোষানো যাবে না, কোনো অঙ্কেই কষা যাবে না। লাশের সারি আর দীর্ঘ হতে দেয়া যায় না। সভ্যতা-মানবতার এমন ধারাবাহিক পরাজয় মেনে নেয়া যায় না। যা চলছে, যা হচ্ছে এসব কোনো কিছুই গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিনীতির মধ্যে পড়ে না। এর নিরসন এখনই করতে হবে। সরকারকে যেমন বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে, জানমাল রক্ষায় আরো দূরদর্শী ব্যবস্থা নিতে হবে তেমনি বিশ দলীয় জোটকেও সব ধরনের অমানবিক কর্মকা- বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ইতিবাচক রাজনীতির ধারা সৃষ্টিতে সবাইকে দিতে হবে দায়িত্বশীলতার পরিচয়। মানুষ পোড়ানো কোনোভাবেই রাজনীতিসিদ্ধ বিষয় হতে পারে না। এমন রাজনীতিকে আমরা আবারো ধিক্কার জানাই।

দুই নেত্রীসহ সকল রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার অনুরোধ স্বাধীন দেশে নিজেরা নিজেরা হত্যাযজ্ঞে মেতে না উঠি। নিজেদের সম্পদ নষ্ট না করি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এরকমের হলিখেলা থেকে বের হয়ে আসি। দয়া করে আপনারা এই প্রাণহানির রাজনীতি ছেড়ে দিন; যদি না পারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দিন। নতুন এবং প্রতিভাবানদের হাতে রাজনীতির হাল ছেড়ে দিন। আমরা প্রাণহানিদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে চাই। আমরা নিজ দেশে পরাধীন হিসেবে থাকতে চাইনা, আমরা চাই সুষ্ঠু গণতন্ত্র, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে। আর ধিক্কার দেই সহিংসতার গণতন্ত্রকে।

পরিশেষে বলতে চাই আমরা শান্তি চাই। কঠোর হাতে দমনের কথা শুনতে শুনতে আমরা পাগল হয়ে যাচ্ছি, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা শুনতে শুনতে কান জালাপোড়া হয়ে গেছে। এখন আর এই কল্পকাহিনী শুনতে চাই না। শুনিয়েও লাভ নেই। কি কারণে এ সহিংসতা ঘটছে সে কারণও আমাদের দেখতে হবে। এ দায় শুধু ২০ দলীয় জোটের নয়, এ দায় সরকার দলীয় জোটের ওপর বর্তায়। তাই আসুন এখন দোষত্রুটি না খুঁজে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করুন। দেশের মানুষকে শান্তি দিন, আপনারাও শান্তিতে থাকুন। আমরা এই তথাকথিত সহিংসতার স্বাধীনতা চাই না, আমরা এক দলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা দেখতে চাই না।

শফিকুল ইসলাম খোকন : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

নদী মরলে দেশও মরবে

: শফিকুল ইসলাম খোকন : নদীমাতৃক দেশে নদীই আমাদের ভরসা। নদী আমাদের হৃৎপিণ্ড, নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না, প্রকৃতি বাঁচবে না, পরিবেশের সুরক্ষা ...