:: শফিকুল ইসলাম খোকন ::
আমাদের দেশটিকে বলা হয়ে থাকে গণতান্ত্রিক দেশ; ১৯৭১ সনে পাকিস্তানিদের হাত থেকে অনেক প্রাণের বিনিময় এ দেশ স¦াধীন করা হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আর গণতন্ত্রের মুল পুঁজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে জনগণকে; আমাদের রাজনীতিবিদরা সব সময়ই মুখে খৈ ফুটিয়ে বলে থাকেন-‘জনগণই মুল চাবিকাঠি, জনগণই গণতন্ত্রের মুল, জনগণ ছাড়া দেশ অচল, জনগণ ছাড়া সরকার অচল, জনগণই মতার উৎস্য ইত্যাদি’।
গত কয়েকদিন ধরে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। নতুন করে কোন লেখা ধরতে পারিনি। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততা থাকাকালীন হঠাৎ শুনলাম সরকারি কর্মকর্তাদের পে-স্কেলের ঘোষনা। প্রথমে শুনে খুব ভালোই লাগগো। ভালো লাগারই কথা। কারণ বেতন বৃদ্ধি এবং সকল সুযোগ-সুবিধা কেনা চায়? আমিও চাই। কিন্তু আমার চাওটা একটু আলাদা...। আমি চাই একটি বৃহত স¦ার্থের জন্য ুদ্র স¦ার্থ ত্যাগ করা যায় তাতে তি কি? যদিও এ কথাটির সাথে অনেকেই একমত পোষন করবেন না।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের প্রায় ২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের পে-স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্তের পরে বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের প থেকে সরকারকে অভিনন্দন আর ধন্যবাদের জয়জয়কার; হ্যাঁ ধন্যবাদ দেয়াটা তাদের বেলায় সঠিক এবং সরকারও ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্মান করি এবং ব্যক্তিগত দিক দেখে তার প্রশংসা করি। প্রশংসার পাশাপাশি গঠণমূলক সমালোচনাও করে থাকি।
আমাদের দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। এ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ২১ লাখ (গণমাধ্যমের তথ্যমতে) সরকারি কর্মকর্তা। এখন দেখা যাক, ২১ লাখ বাদে বাকি মানুষ কারা? এরা আমাদের মতো সাধারণ কৃষক, মৎস্যজীবী, কাঠুরি, দিনমজুর, উৎপাদক, শ্রমিক। এরা দেশের মেরুদণ্ড। যদি রাজনীতিকদের ভাষায় বলি তাহলে ‘জনণই মতার উৎস’। তাহলে জনগণের কথা কতটুকু ভেবেছেন? আমরা কর প্রদান করি দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য। জনগণের টাকা যতটা সম্ভব উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা উচিত। তাহলে সাধারণ মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা গুটি কয়েক মানুষের আরামদায়ক জীবনের জন্য কেন ব্যয় করা হবে? ওইসকল সাধারণ নাগরিকদের জন্যতো বিশেষ বিবেচনায় কর মওকুফ করা হয় না? এদেরতো পে-স্কেলও হবে না, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাও পাবে না। বরং তাদের খরচ বাড়বে। এদের কোনো আর্থিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে কী করে দিন অতিবাহিত করবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
এখন যদি এই পে-স্কেল বা বর্তমান বাজার নিয়ে বিশ্লেষন করি তাহলে তা থেকে আমরা কি পাই। তাহলে আসুন একটু বিশ্লেষন করে দেখি। মনে করেন কাঁচা বাজারে গিয়ে একজন দিনমজুর বা খেটে খাওয়া মানুষ একটি লাউ কিনলেন ৪০ টাকা দিয়ে। ওই লাউটি যদি ৮০ থেকে ১০০ টাকা মুল্য হয় তাহলে পে-স্কেল প্রাপ্তদের কিনতে মোটেই কষ্ট হবে না। কিন্তু ওইসকল খেটে খাওয়া মানুষদের ৪০ টাকায় কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। পে-স্কেল প্রাপ্তদের বেতন ভাতা বাড়লেও অন্য সাধারণ মানুষদের আয় বাড়লো না। তাহলে ২১ লাখ মানুষের জন্য বাকী পৌনে ১৬ কোটি মানুষদের গলার কাঁটা হলো না? এটি কতটুকু যৌক্তিক বলে মনে করবেন দেশের ধারক-বাহকেরা!
যদি মনে করি বেতন বৃদ্ধির প্রধান কারণ সরকারি চাকরিজীবীদের নিরাপদে জীবন-যাপনের জন্য। এটি ভালো কথা। আমরা যারা চাকুরীজীবী আছি তারাও চাই এবং যারা চাকুরীজীবী তারা আমাদের কোন না কোনভাবে আত্মীয়। তাহলে এ সুযোগ-সুবিধা আমাদের আত্মীয়রাই ভোগ করবেন। যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, সর্বোচ্চ বেতন আর সর্বনিম্ন বেতনের পার্থক্যটা কত বেশি। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনের পার্থক্য এত বেশি তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় দেশের বাকি পৌনে ১৬ কোটি মানুষদের প্রতি বৈষম্য মাত্রা আকাশ-পাতাল। এ থেকেই বোঝা যায় নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে এ বেতন কাঠামো নির্ধারিত হয়নি। একবারের জন্যও ভাবলেন না যে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়নে আগের ব্যয়ের সঙ্গে আরো কত টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। যা জনগণের রক্ত পানি করা রাজস্ব থেকে তাদেরকে বেতন ভাতা দেওয়া হবে। সরকারের এমন কোনো স্থান নেই, যে স্থান থেকে কোনো না কোনোভাবে বছরে দু'একশ কোটি টাকা আয় হয়। আদমজী জুট মিল তাও বন্ধ; এরপর সম্ভাবনার যতোটুকু স্থান ছিল; তাও এবার জিএসপি বাতিলের মধ্য দিয়ে অন্ধকারে পতিত হয়েছে। আমি যদি আরও গভীরে চিন্তা করি তাহলে বুঝা সহজ হবে। মুষ্টিমেয়দের যে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে তারাওতো জনগণ? তারা জনগণের বাইরে নয়। এ জনগণ ৫ বছর পরপর ভোটাধিকার প্রয়োগেও ব্যর্থ হয়, কারণ তাদের ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর যাদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে আজ তাদেরই মাথায় বাড়ি। তাহলে এ থেকে কি বুঝা গেল এটি কোন কালো হাতের ছোয়া নাকি কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য?
পরিশেষে বলতে চাই- অষ্টম পে-স্কেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি আনলেও; তাদের ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও সরকারের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। পে-স্কেল হওয়ার পর কেউ কেউ অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে অতীতে যারা ভালো ছিলেন; তারাই ভালো থাকবেন। নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আর বেকারত্বের অভিশাপে সাধারণ জনগণ। সরকারের উদ্দেশ্যে বলি-আপনারা যদি জনগণের সরকারই হন, রাজনীতি যদি জনগণের জন্যই করেন তাহলে জনগণের কথা ভাবেন; শুধু শুধু মুখে বলে আর গলাবাজি করবেন না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুটি কয়েক মানুষের জন্য ভাবেনি; ভেবেছিলেন সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জন্য। তাই আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে, তার মতো হিংসাবিদ্দেশের উর্দ্ধে থেকে রাজনীতি ও দেশ পরিচালনা করি। তা নাহলে একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। জনগণকে ভালোবাসতে শিখুন, কথার সাথে কাজের মিল রাখুন। বৃহৎ স¦ার্থের জন্য ুদ্র স¦ার্থ জলাঞ্জলি দিতে শিখুন।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার বিষয়ে গবেষক
আমাদের দেশটিকে বলা হয়ে থাকে গণতান্ত্রিক দেশ; ১৯৭১ সনে পাকিস্তানিদের হাত থেকে অনেক প্রাণের বিনিময় এ দেশ স¦াধীন করা হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আর গণতন্ত্রের মুল পুঁজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে জনগণকে; আমাদের রাজনীতিবিদরা সব সময়ই মুখে খৈ ফুটিয়ে বলে থাকেন-‘জনগণই মুল চাবিকাঠি, জনগণই গণতন্ত্রের মুল, জনগণ ছাড়া দেশ অচল, জনগণ ছাড়া সরকার অচল, জনগণই মতার উৎস্য ইত্যাদি’।
গত কয়েকদিন ধরে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। নতুন করে কোন লেখা ধরতে পারিনি। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততা থাকাকালীন হঠাৎ শুনলাম সরকারি কর্মকর্তাদের পে-স্কেলের ঘোষনা। প্রথমে শুনে খুব ভালোই লাগগো। ভালো লাগারই কথা। কারণ বেতন বৃদ্ধি এবং সকল সুযোগ-সুবিধা কেনা চায়? আমিও চাই। কিন্তু আমার চাওটা একটু আলাদা...। আমি চাই একটি বৃহত স¦ার্থের জন্য ুদ্র স¦ার্থ ত্যাগ করা যায় তাতে তি কি? যদিও এ কথাটির সাথে অনেকেই একমত পোষন করবেন না।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের প্রায় ২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের পে-স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্তের পরে বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের প থেকে সরকারকে অভিনন্দন আর ধন্যবাদের জয়জয়কার; হ্যাঁ ধন্যবাদ দেয়াটা তাদের বেলায় সঠিক এবং সরকারও ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে সম্মান করি এবং ব্যক্তিগত দিক দেখে তার প্রশংসা করি। প্রশংসার পাশাপাশি গঠণমূলক সমালোচনাও করে থাকি।
আমাদের দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। এ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ২১ লাখ (গণমাধ্যমের তথ্যমতে) সরকারি কর্মকর্তা। এখন দেখা যাক, ২১ লাখ বাদে বাকি মানুষ কারা? এরা আমাদের মতো সাধারণ কৃষক, মৎস্যজীবী, কাঠুরি, দিনমজুর, উৎপাদক, শ্রমিক। এরা দেশের মেরুদণ্ড। যদি রাজনীতিকদের ভাষায় বলি তাহলে ‘জনণই মতার উৎস’। তাহলে জনগণের কথা কতটুকু ভেবেছেন? আমরা কর প্রদান করি দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য। জনগণের টাকা যতটা সম্ভব উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা উচিত। তাহলে সাধারণ মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা গুটি কয়েক মানুষের আরামদায়ক জীবনের জন্য কেন ব্যয় করা হবে? ওইসকল সাধারণ নাগরিকদের জন্যতো বিশেষ বিবেচনায় কর মওকুফ করা হয় না? এদেরতো পে-স্কেলও হবে না, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাও পাবে না। বরং তাদের খরচ বাড়বে। এদের কোনো আর্থিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে কী করে দিন অতিবাহিত করবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
এখন যদি এই পে-স্কেল বা বর্তমান বাজার নিয়ে বিশ্লেষন করি তাহলে তা থেকে আমরা কি পাই। তাহলে আসুন একটু বিশ্লেষন করে দেখি। মনে করেন কাঁচা বাজারে গিয়ে একজন দিনমজুর বা খেটে খাওয়া মানুষ একটি লাউ কিনলেন ৪০ টাকা দিয়ে। ওই লাউটি যদি ৮০ থেকে ১০০ টাকা মুল্য হয় তাহলে পে-স্কেল প্রাপ্তদের কিনতে মোটেই কষ্ট হবে না। কিন্তু ওইসকল খেটে খাওয়া মানুষদের ৪০ টাকায় কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। পে-স্কেল প্রাপ্তদের বেতন ভাতা বাড়লেও অন্য সাধারণ মানুষদের আয় বাড়লো না। তাহলে ২১ লাখ মানুষের জন্য বাকী পৌনে ১৬ কোটি মানুষদের গলার কাঁটা হলো না? এটি কতটুকু যৌক্তিক বলে মনে করবেন দেশের ধারক-বাহকেরা!
যদি মনে করি বেতন বৃদ্ধির প্রধান কারণ সরকারি চাকরিজীবীদের নিরাপদে জীবন-যাপনের জন্য। এটি ভালো কথা। আমরা যারা চাকুরীজীবী আছি তারাও চাই এবং যারা চাকুরীজীবী তারা আমাদের কোন না কোনভাবে আত্মীয়। তাহলে এ সুযোগ-সুবিধা আমাদের আত্মীয়রাই ভোগ করবেন। যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, সর্বোচ্চ বেতন আর সর্বনিম্ন বেতনের পার্থক্যটা কত বেশি। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনের পার্থক্য এত বেশি তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় দেশের বাকি পৌনে ১৬ কোটি মানুষদের প্রতি বৈষম্য মাত্রা আকাশ-পাতাল। এ থেকেই বোঝা যায় নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে এ বেতন কাঠামো নির্ধারিত হয়নি। একবারের জন্যও ভাবলেন না যে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়নে আগের ব্যয়ের সঙ্গে আরো কত টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। যা জনগণের রক্ত পানি করা রাজস্ব থেকে তাদেরকে বেতন ভাতা দেওয়া হবে। সরকারের এমন কোনো স্থান নেই, যে স্থান থেকে কোনো না কোনোভাবে বছরে দু'একশ কোটি টাকা আয় হয়। আদমজী জুট মিল তাও বন্ধ; এরপর সম্ভাবনার যতোটুকু স্থান ছিল; তাও এবার জিএসপি বাতিলের মধ্য দিয়ে অন্ধকারে পতিত হয়েছে। আমি যদি আরও গভীরে চিন্তা করি তাহলে বুঝা সহজ হবে। মুষ্টিমেয়দের যে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে তারাওতো জনগণ? তারা জনগণের বাইরে নয়। এ জনগণ ৫ বছর পরপর ভোটাধিকার প্রয়োগেও ব্যর্থ হয়, কারণ তাদের ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর যাদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে আজ তাদেরই মাথায় বাড়ি। তাহলে এ থেকে কি বুঝা গেল এটি কোন কালো হাতের ছোয়া নাকি কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য?
পরিশেষে বলতে চাই- অষ্টম পে-স্কেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি আনলেও; তাদের ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও সরকারের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। পে-স্কেল হওয়ার পর কেউ কেউ অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে অতীতে যারা ভালো ছিলেন; তারাই ভালো থাকবেন। নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আর বেকারত্বের অভিশাপে সাধারণ জনগণ। সরকারের উদ্দেশ্যে বলি-আপনারা যদি জনগণের সরকারই হন, রাজনীতি যদি জনগণের জন্যই করেন তাহলে জনগণের কথা ভাবেন; শুধু শুধু মুখে বলে আর গলাবাজি করবেন না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুটি কয়েক মানুষের জন্য ভাবেনি; ভেবেছিলেন সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জন্য। তাই আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে, তার মতো হিংসাবিদ্দেশের উর্দ্ধে থেকে রাজনীতি ও দেশ পরিচালনা করি। তা নাহলে একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। জনগণকে ভালোবাসতে শিখুন, কথার সাথে কাজের মিল রাখুন। বৃহৎ স¦ার্থের জন্য ুদ্র স¦ার্থ জলাঞ্জলি দিতে শিখুন।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার বিষয়ে গবেষক
প্রকাশিতঃ দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, তারিখঃ ৩ অক্টোবর ২০১৫, দৈনিক যুগান্তর ৩০সেপ্টে¤¦র ২০১৫, দৈনিক জনতা, ১২ অক্টোবর ২০১৫, দৈনিক বাংলাদেশ সময়, ৩ অক্টোবর ২০১৫